ঘাড় ব্যথা কিসের লক্ষণ ঘাড় ব্যথা হলে করণীয়
পেজ সচিপত্র ঃ ঘাড় ব্যথা কিসের লক্ষণ
- ঘাড় ব্যথা কিসের লক্ষণ হয়ে থাকে
- যেসব কারণে ঘাড় ব্যথা হয়ে থাকে
- ঘাড় ব্যথা হলে যা করতে হবে
- হঠাৎ ঘাড় ব্যথা হওয়ার কারণ কি
- পুরনো ঘাড়ের ব্যথা কিভাবে ঠিক করা যায়
- ঘাড় ব্যথা ঠিক করার উপায়
- ঘরোয়া পদ্ধতিতে ঘাড় ব্যথার প্রতিকার
- ঘাড়ে ব্যথার জন্য ফিজিওথেরাপির সুবিধা
- কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন
- শেষ কথা ঃ ঘাড় ব্যথা কিসের লক্ষণ
ঘাড় ব্যথা কিসের লক্ষণ হয়ে থাকে
যেসব কারণে ঘাড় ব্যথা হয়ে থাকে
ঘাড় ব্যথার একটি সাধারণ সমস্যা তবে অনেক সময় এটি অনেক জটিল হয়ে থাকে, প্রায় বেশিরভাগ মানুষের ঘাড় ব্যথাহয়ে থাকে যেসব কারণে তা হল টিউমার, আর্থ্রাইটিস, আঘাত, মাসল স্প্যাজ, মেরুদণ্ডের সমসা, ভুল ভঙ্গি,বাত
টিউমার ঃ শরীরের যেকোনো জায়গার কোর্স যদি অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে উঠে তাকে বলা হয় টিউমার টিউমার হল দেহকোষের অভ্যন্তরীক রূপ।
আর্থ্রাইটিস ঃআর্থ্রাইটিস এর অর্থ হল জয়েন্টের প্রদাহ। এটি রোগের একটি পুরো গ্রুপকে বোঝায় যা জয়েন্টগুলিকে প্রভাবিত করে, যার ফলে ব্যথা, শক্ত হওয়া এবং ফুলে যায়।
আঘাতঃ ব্যায়াম করা ,খেলাধুলা করা বা কোন দুর্ঘটনা থেকে ব্যথা পাওয়া।
মাসল স্প্যাজ ঃ মাসল স্পাজম এর আরেকটি নাম ক্রাম্পস। যখন ঘাড়ের পেশি শিথিল হতে পারে না, অনিচ্ছাকৃত এবং জোর করে সংকুচিত হয়ে পড়ে তখন তাকে মাসল স্পাজম বলা হয়। অসুবিধা জনক ভাবে ঘুমানোর কারণে ঘাড়ের মাংসপেশিতে টান পড়ে থাকে,একারণেই সাধারণত এই সমস্যাটি হয়ে থাকে।
মেরুদণ্ডের সমসা ঃ স্পন্ডাইলোসিস মেরুদণ্ড বরাবর সকল জয়েন্টের ক্ষতি করতে পারে তবে এটি ঘাড় এবং পিঠের নিচের অংশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে।
ঘাড় ব্যথা হলে যা করতে হবে
ঘাড় ব্যথা আরম্ভ হলেই প্রথমে পিট সোজা করে বসে পড়ুন যেন মেরুদন্ড সোজা
থাকে।তারপর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে রাখুন এবং তোয়ালে থেকে পানি
ঝরিয়ে সেই তোয়ালে ব্যাথার ওই স্থানে লাগিয়ে দিন এবং সেধ করুন, সেন্ড
করা হয়ে গেলে রসুন সরিষার তেল এবং কালোজিরা দিয়ে তেল গরম করে নিন হালকা গরম
অবস্থাতেই তেলটি ব্যথা স্থানে লাগিয়ে ভালোভাবে মালিশ করুন তারপর এক দুই মিনিট
ব্যায়াম করুন এবং সোজা হয়ে শুয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিন এর ফলে দেখা যাবে
ব্যথা অনেক তাড়াতাড়ি কমতে শুরু করবে। ঘাড় ব্যথা হলে যা করতে হবে আশা
করি তা বুঝাতে পেরেছি চলুন জেনে নেওয়া যাক হঠাৎ ঘাড় ব্যথা হওয়ার
কারণ।
হঠাৎ ঘাড় ব্যথা হওয়ার কারণ কি
ঘাড়ের পেসিতে টান পরলে ঘাড়ে ব্যথা হয়। স্নায়ু সংকুচিত অর্থাৎ হাড়ের মেরুদন্ডের কার্ড থেকে বেরিয়ে আসা স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ার কারণেও ব্যথা হয়ে থাকে। অনেক সময় বিভিন্ন আঘাতের কারণেও ঘাড় ব্যথা হয়ে থাকে এছাড়াও ঘাড়ের রগ টেনে ধরার কারণ আর্থ্রাইটিস, মাসল স্প্যাজ,মেরুদণ্ডের সমস্যার কারণে হঠাৎ ঘাড় ব্যথা হতে পারে। যেসব কারণে হঠাৎ করে ঘাড় ব্যথা হয়ে থাকে আশা করি তা বুঝাতে পেরেছি এবার তাহলে ঘাড় ব্যথা ঠিক করার উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পুরনো ঘাড়ের ব্যথা কিভাবে ঠিক করা যায়
পুরনো ঘাড়ের ব্যথা ঠিক করার জন্য অবশ্যই কিছু পন্থা অবলম্বন করতে হবে। যেমন
ফিজিওথেরাপি। পুরনো ঘাড়ের ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায় যার কারণে তা হলে
বাতের ব্যথা এটি একটি অত্যন্ত খারাপ অসুখ ।বাতের ব্যথা পুরো
শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে আর এই বাতের ব্যথা যে কোন সময় যেকোনো জায়গায়
হতে পারে তাই তাই বাতকে অনেক শক্তিশালী একটি অসুখ মানা হয়ে থাকে ।
তবে বাত এর ব্যথা সম্পন্ন ঠিক করা যায় না ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে এটাকে
অনেকাংশে কমিয়ে রাখা যায় তবে একেবারে ভালো করা যায় না। একেবারে ভালো করার
জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে এবং কিছু কিছু খাবার
এগিয়ে চলতে হবে এগুলো ডাক্তারেরাই বলে দেই যে খাবারগুলো এরিয়েভচলতে হয় তা হল
হাঁসের মাংস বতক এর মাংস ইত্যাদি।
ঘাড় ব্যথা ঠিক করার উপায়
ঘাড় ব্যথার ঠিক করার বেশ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে যেমন ঘরোয়া পদ্ধতিতে ঘাড়
ব্যথা ঠিক করা যায় আবার ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে ঘাড়বালা ঠিক করা যায় তাছাড়া
মেডিসিন ও স্প্রে ব্যবহার করেও ঘাড় ব্যথা ঠিক করা যায়। ঘরোয়া পদ্ধতিতে
ঘাড় ব্যথা প্রতিকার ও ফিজিওথেরাপি নিচে আলোচনা করা হবে চলুন দেখে নেওয়া
যাক মেডিসিন ও ব্যথার স্প্রে করে ঘাড় ব্যথা কমানো যায় কিভাবে তা । বর্তমানে
বাজারে অনেক ব্যথা নাশক স্প্রে পাওয়া যায় যা ব্যথার স্থানে লাগিয়ে
ভালোভাবে মালিশ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় তাছাড়া ব্যথা সব জেল ব্যবহার করেও
অনেক আরাম পাওয়া যায়। আশা করি ঘাড় ব্যথা ঠিক করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের
জানাতে পেরেছি, চলুন এবার ঘরোয়া পদ্ধতিতে ঘাড় ব্যথা প্রতিকার সম্পর্কে জেনে
নেওয়া যাক।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ঘাড় ব্যথার প্রতিকার
ঘাড় ব্যথা তো কম বেশি প্রায় সবারই হয়ে থাকে কেমন হয় যদি নিজে নিজেই ঘরে বসে ঘাড় ব্যথা ঠিক করা যায় আসুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া পদ্ধতিতে ঘাড় ব্যথা ঠিক করার কিছু কৌশল। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ঘাড় ব্যথা ঠিক করা এটি অনেক আগে থেকে মানুষ করে আছে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ঘাড় ব্যথা ঠিক করার জন্য যা করতে হবে তা হল ব্যথার স্থান লবণাক্ত পানি বা আইসবার্গ দিয়ে সেধ করা
এরপর সরিষার তেল রসুন এবং কালোজিরা ভালোভাবে গরম করে ব্যথা যুক্ত স্থানে লাগিয়ে ভালোভাবে মালিশ করলে ব্যথা থেকে অনেক আরাম পাওয়া যায়। কারণ এরকম করলে ওই স্থানের রক্ত চলাচলের চাপ বেড়ে যায়। যার কারণে ব্যথা কম লাগে। এই ঘরোয়া পদ্ধতি মানুষ আদিমকাল থেকে ব্যাথা ঠিক করার কাজে ব্যবহার করে আসছে।
তাছাড়া কিছু কিছু বিষয় মেনে চললে আমাদের ঘাড় ব্যথা অনেক আনছে কমে যাবে যেমন সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি এক জায়গায় বেশিখন একই পজিশনে বসে থাকা যাবে না। বসে থাকার সময় মেরুদন্ড যেন একদম সোজা হয়ে থাকে সরলরেখা বরাবর এমন ভাবে বসতে হবে এবং কান যেন কাঁধের উপরে থাকে। দীর্ঘক্ষণ সময় ধরে একই জায়গায় বসে কাজ করা কাজে কিছুক্ষণ পরপর ১০ মিনিট করে ব্রেক নিতে হবে। ওজনকৃত ব্যাগ ঘাড়ে বহন করা ছেড়ে দিতে হবে নয়তো এটি ঘাড়ে প্রেসার তৈরি করে। আশা করি ঘর ব্যথা প্রতিরোধে ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে বুঝাতে পেরেছি চলুন এবার ঘাড়ে ব্যথার জন্য ফিজিওথেরাপির সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ঘাড়ে ব্যথার জন্য ফিজিওথেরাপির সুবিধা
ঘাড় ব্যথার জন্য ফিজিওথেরাপি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ ফিজিওথেরাপি মাধ্যমে অনেক পুরনো ব্যথা করার হয়ে থাকে এবং নিয়মিত ফিজিওথেরাপি করলে ঘাড়ে ব্যাথা হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায় যার কারণে ফিজিওথেরাপি ঘাড়ের ব্যথার জন্য অনেক কার্যকরী একটি দিক ফিজিওথেরাপিকিভাবে কাজ করে আসুন জেনে নেওয়া যাক।
ফিজিওথেরাপি পেশির টান কমাতে এবং রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে তাই ব্যথা তেমন থাকে না । ফিজিওথেরাপি ব্যায়াম শক্তি বাড়াতে এবং সঠিক পোজ বজায় রাখতে সাহায্য করে সঠিক পোজ বলতে দাঁড়ানো বসা বা ঘুমানোর সঠিক পদ্ধতি। তাছাড়া বেদনা নাশক পদ্ধতি ব্যবহার করে তাপ ও ঠান্ডা কমপ্রেস ব্যবহার করে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ঘাড়ে ব্যথার জন্য ফিজিওথেরাপির সুবিধা সম্পর্কে আশা করি বুঝাতে পেরেছি এবার জেনে নেওয়া যাক
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন
ধরেন আপনি দীর্ঘক্ষণ সময় ধরে কম্পিউটার চালাচ্ছেন এবং সময় আপনার ঘাড়ে ব্যথা
হতে পারে এমন ব্যথা একটু বিশ্রাম নিলেই ঠিক হয়ে যায় এগুলো স্বাভাবিক
ব্যাপার । কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন তা নিচে জানানো ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া
হয়েছে।
ঘাড় ব্যথা যদি দীর্ঘদিন স্থায়ী হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে তাছাড়া
যদি ব্যথার সাথে অন্য কোন লক্ষণ দেখা দেয় যেমন ঘাড় ব্যথার সাথে হাতে কব্জি বা
আঙ্গুল এ অনুভূতি হারানো হাতে শক্তি না পাওয়া হাতের হাড্ডি সাথে মাংস লেগে
যাচ্ছে এরকম কোন লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে এছাড়াও আরো কিছু
কারনে ডাক্তার এর পরামর্শ নেওয়া উচিত যেমন ব্যথা দিন দিন বেড়ে গেলে, দৈনিক
কাজকর্মে ব্যথা দেখা দিলে।
শেষ কথা ঃ ঘাড় ব্যথা কিসের লক্ষণ
ঘাড় ব্যথা কিসের লক্ষণ ও কি কি কারনে ঘাড় ব্যথা হয়ে থাকে সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের আর্টিকেলে। ঘাড় ব্যথা এটি একটি অতি সাধারণ সমস্যা তবে এটি মাঝেমধ্যে অনেক গুরুতর হয়ে থাকে তাই ঘাড় ব্যথায় একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিলে সঠিক চিকিৎসা পাওয়া যাবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url